করোনা আপডেটঃ

☞ বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা ৩০ হাজার ৩১৩, মোট আক্রান্ত ৬ লাখ ৫২ হাজার ৭৯ জন। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়।

☞ পাকিস্তানে নতুন করে আক্রান্ত ১২১ জন। মোট আক্রান্ত ১৫২৬, মৃত্যু ১৩: আল জাজিরা। ☞ ইতালি সরকার লকডাউন ৩ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়েছে: আল জাজিরা

Breaking News

পলাশ-শিমুলের ডালে ডালে আগুন রাঙা ফুলের সমাহার।

পলাশ-শিমুলের ডালে ডালে আগুন রাঙা ফুলের সমাহার। সেই সঙ্গে শীতের রুক্ষতা ঝেড়ে ফেলে গাছেরা সেজেছে নতুন সবুজ-সজীব পাতায়। সেই পাতার আড়ালে কোকিলের ব্যাকুল কুহুতান। এই তো বসন্তের আগমনী বারতা। বহু বর্ণ
বর্ণিল, আলোক উজ্জ্বল, প্রাণপ্রাচুর্য্যময় সেই ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করতে হূদয়ের সকল উচ্ছ্বলতা ঢেলে দেয় রাজধানীবাসী। গতকাল বৃহস্পতিবার বসন্তের প্রথম দিনে পূর্ব আকাশে ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই শিশু থেকে বৃদ্ধ- সব বয়সী নর-নারীর ঢল নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুল তলায়। মেয়েরা রঙিন শাড়ি, চুড়ি, জামা

বসন্ত বরণ
আর বাহারী ফুলের সাজে সাজিয়ে ছিল নিজেদের। কোকিলের সুমধুর সুর ধ্বনি আর প্রকৃতির রঙিন সাজ যেন ফুঁটে ওঠে তরুণ-তরুণীদের মাঝে। প্রকৃতির এ আমেজ দেখে সহজেই অনুমেয় হয় 'বসন্ত এসেছে দ্বারে দ্বারে...'।

পঞ্জিকার নিয়ম অনুসারে বসন্তের আগমনী দিনকে স্বাগত জানাতে জাতীয় বসন্ত উদযাপন পরিষদ-১৪২০ আয়োজন করে বসন্ত বরণ উত্সবের। বেহালার সুর, গান, কবিতা, নৃত্য ও কথনে সাজানো হয়েছিল বসন্ত উত্সব। প্রতিবছরের মতো এবারও বকুলতলায় সকাল সোয়া ৭টায় যন্ত্র সংগীত শিল্পী আকরাম হোসেন এর 'এসরাজ' এর সুরের মূর্ছনায় শুরু হয় বসন্তবরণ।

খ্রিস্টীয় ক্যালেন্ডারে ফেব্রুয়ারি মাসে বসন্ত আসে বলে, একে বলা হয় আন্দোলনের ঋতু। এ ঋতুতেই বাঙালি করেছিল ভাষার জন্যে আন্দোলন। ফুল ফোটানো এই বসন্তে ফুটেছে বাঙালির আন্দোলনের ফুল। তাইতো এ বসন্তকে তারুণ্যের অভিবাদন।
বসন্ত বরণ

লাল, হলুদ আর কমলা রঙের ছটায় সাজানো হয় উত্সবের মঞ্চ। ঋতু বন্দনায় শিল্পীরা পরিবেশন করেন গান, নৃত্য ও আবৃত্তি। দলীয় সংগীত পরিবেশন করে সুরের ধারা, সত্যেন সেন ও সুরসপ্তক, ধ্রুবতান শিল্পীগোষ্ঠী। নৃত্যশিল্পী শর্মিলী বন্দোপাধ্যায় এর পরিচালনায় 'নৃত্যনন্দন' পরিবেশন করে 'দোল ফাগুনের দোল লেগেছে আমার বনে দোল...' গানের সঙ্গে দলীয় নৃত্য। নৃত্যশিল্পী প্রেমার পরিচালনায় 'ধৃতি'র পরিবেশিত নৃত্য 'যাও যাও যাওগো/ এবার যাবার আগে রাঙিয়ে দিয়ে যাও...'। নটরাজ পরিবেশন করে লায়লা হাসান পরিচালিত 'আজ সবার রঙে রং মিশাতে হবে, ওগো আমার প্রিয় তোমার রঙিন উত্তরীয়...' গানের সঙ্গে দলীয় নৃত্য। একক সংগীত পরিবেশন করেন চন্দনা মজুমদার ও খায়রুল আনাম শাকিল।

বসন্ত কথনে মঞ্চে আসেন সংস্কৃতি সচিব রণজিত্ কুমার বিশ্বাস, বসন্ত উত্সব উদযাপন পরিষদেরসহ সাধারণ সম্পাদক স্থপতি সফিউদ্দিন, সহসভাপতি কাজল দেবনাথ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট, অভিনয় শিল্পী ও নারীনেত্রী রোকেয়া রফিক প্রমুখ।

এ সময় সংস্কৃতি সচিব বলেন, 'আজ এখানে এসে মনে হচ্ছে আমরা মানুষের বাগানে এসেছি। বসন্ত ঋতুর সঙ্গে রঙের মেলা, প্রাণের মেলা লেগেছে। যতদিন বাঙালির মধ্যে এই আন্তরিকতা থাকবে, ততোদিন কোন সাম্প্রদায়িকতা আমাদের ছুঁতে পারবে না।'
বসন্ত বরণ


একই স্থানে বিকেল সাড়ে তিনটায় অনুষ্ঠিত হয় বসন্তবরণ উত্সবের দ্বিতীয় পর্ব, চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যে ৭টা পর্যন্ত ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে এবং বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যে ৭টা পর্যন্ত পুরনো ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কেও অনুষ্ঠিত হয় বসন্ত উত্সব। উত্সবকে ঘিরে ঢাবাবাসী সংগঠন আয়োজন করে মেহেদী শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।

No comments

https://web.facebook.com/Newprojapotibd/