‘আত্মহত্যা করব কারণ নিজেকে নায়িকার বাইরে ভাবতে পারি না’
‘আত্মহত্যা করব কারণ নিজেকে নায়িকার বাইরে ভাবতে পারি না’
VIDzoneBD.com
প্রথম কোনো বাংলাদেশী ছবি একসাথে প্রায় হাজার হলে মুক্তি পাচ্ছে। আর এ ছবির নায়িকা মাহিয়া মাহি।
শক্ত প্রতিদ্বন্ধিতার মুখোমুখি হবেন ঈদে আরো তিন নায়িকার সাথে। ‘ঢালিউড’ এর সাথে তিনি কথা বলেছেন আসন্ন ছবি ‘অগ্নি-২’, জাজ-মাহি সম্পর্কের
টানাপোড়েন, ক্যারিয়ার প্ল্যান নিয়ে। ‘অগ্নি-২’তে আপনার চরিত্র সম্পর্কে জানতে চাই। ‘অগ্নি’র মতই প্রতিশোধপরায়ণ একটা মেয়ে। ওখানে বাবা-মার জন্য প্রতিশোধ নেয়। এখানে আমি আমার ভালোবাসার মানুষ আরিফিন শুভর জন্য প্রতিশোধ নেব। ‘অগ্নি’র সময় সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনদিন ন খেয়ে থাকার কথা। এবার কী এরকম কোনো স্মৃতি আছে- মজার কিংবা কষ্টের। মজারতো ওভাবে নেই। তবে কিছু কষ্টের স্মৃতিতো আছেই। যেমন- ‘অগ্নি-টু’র জন্য আমি একমাস না খেয়ে ছিলাম। সারাদিন শুধু জুস খেতাম আর তিন লিটার পানি। এছাড়া আর কোনো খাবার আমি খাইনি। এটা শুধু শুটিং না ট্রেনিং চলাকালীন সময়ও করেছি। দুর্দান্ত কিছু অ্যাকশন দৃশ্যে দেখা যাবে মাহিকে দুর্দান্ত কিছু অ্যাকশন দৃশ্যে দেখা যাবে মাহিকে আর কোনো স্মৃতি বা ঘটনা কিংবা অভিজ্ঞতা। অভিজ্ঞতা বলতে না ঘুমিয়ে থাকার কথা বলতে পারি। দেখা যেত থাইল্যান্ডের রাস্তায় কিংবা বিচে শুটিং করছি টানা ৪-৫ দিন। হোটেলে যাওয়ার সময়টুকু হচ্ছে না। তখন হয়তো গাড়িতে আধা ঘন্টা বা এক ঘন্টা কোনোরকমে চোখ বন্ধ করতাম। খাওয়া-দাওয়াও ওখানে হত। এটার কারণ ছিল ব্যাংকক থেকে অনেক দূরে শুটিং হত। ৬ ঘন্টা শুধু লাগত যেতেই। প্রচন্ড পরিশ্রম করতে হয়েছে। এই ছবিতে মানুষ বিশেষ কি দেখতে পাবে? বিশেষ বলতে মানুষ এ ছবিতে অনেকগুলো ভালো গান দেখতে পাবে। আমি খুব সৌভাগ্যবান এত আয়োজন নিয়ে নির্মাণের কাজ করতে পেরেছি। নিজে খুব তৃপ্ত। অ্যাকশনগুলো ‘অগ্নি’র চেয়ে অনেকগুণে ভালো হয়েছে। অনেকগুলো লোকেশনে শুটিং হয়েছে। একটা ফাইট-ই দেখা গেছে ৪-৫ টা জায়গায় শুট হয়েছে। কলকাতার ওম, বলিউডের আশীষ বিদ্যার্থীর সাথে প্রথমবারের মত কাজ করলেন।
তাদের সাথে কাজের অভিজ্ঞতা জানতে চাইবো- বিশেষ করে আশীষ বিদ্যার্থীর মত উপমহাদেশের বিখ্যাত অভিনেতার সাথে কাজ করতে ভয় পাননি? ওম’র সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা আসলে বাপ্পির মত। বাপ্পির সাথে যেভাবে ঝগড়া করি, কথা কাটাকাটি করি- অনেকটা ওরকম। খুব সহজভাবে বললে ওমের সাথে আর বাপ্পির সাথে কাজের কোনো পার্থক্য নেই। ওম খুব বেশি কেয়ারিং। আর আশীষ বিদ্যার্থীর সাথে ভয় পাওয়ার কিছু ছিল না। হ্যাঁ, উনি খুব সিনিয়র, কিন্তু ওনাকে দেখে তা বোঝা যায় না।
উনি খুব মিশুক ছিলেন। খুব মজা করে কাজ করতেন। নিজের মত করে কাজগুলো বের করে নিতেন। 'একখান চুমু' চান মাহির কাছে ওম ‘একখান চুমু’ চান মাহির কাছে ওম একটু আগে বললেন, গান নিয়ে সন্তুষ্ট। এ ছবির কোন গানটি আপনার সবচেয়ে বেশি ভাল লাগে? ‘ম্যাজিক মামনি’। ওই গানের ‘ফেয়ার এন্ড লাভলী মেখে আমি নূরানি’ আমার খুব প্রিয়। হিঃ হিঃ হিঃ। আমি যদি ভুল না করি আপনি ‘অগ্নি’, ‘অগ্নি-২’ মিলিয়ে দু-বার আইটেম গানে কাজ করলেন, নায়িকাদের ‘আইটেম গার্ল’ হিসেবে কাজ করা উচিত কি না? ‘আইটেম গার্ল’কে যেভাবে দেখা যায় সেভাবে হয়তো কিছুটা ‘ম্যাজিক মামনি’তে দেখেছেন। আর ছবিগুলোতে আমি নায়িকা হিসেবে ছিলাম। ফলশ্রুতিতে দর্শক আমাকে ‘আইটেম গার্ল’ হিসেবে নেবে না। আর ওরকম আইটেম গান বলতে যা বোঝায় তাও কিন্তু আমি করিনি। ইফতেখার চৌধুরীর সাথে দ্বিতীয়বারের মত কাজ করলেন, তার সম্পর্কে বলুন। খুব ভাল, খুব-ই কেয়ারিং। অনেক শুটিং-এ দেখা যায় কাজ করতে গিয়ে নানা কারণে মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু ওনার সাথে কাজ করতে গিয়ে ওরকম কিছুই হয়নি। গত দু-বছর ঈদে অপু-মাহি যুদ্ধ হয়েছে। এবার অপু-মাহি-মিম-পরীমনি, কে জিতবে? যুদ্ধ ব্যাপারটা একদমই আমার মাথায় আসে না। আমার গত বছর মাহির ছবি কতটুকু ভালো চলেছে তারচেয়ে এ বছর কতটুকু ভালো চলবে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। নিজের সাথে নিজের যুদ্ধ। আমি অন্য কারো সাথে যুদ্ধ করতে পারি না। করলেও আমি জিতব না। তাই আমি যুদ্ধের মধ্যে যাবোই না।
_S2A8305 উপমহাদেশের সাম্প্রতিক সময়ে হওয়া নায়িকাপ্রধান ছবি-‘কাহানি’, ‘ফ্যাশন’, ‘ডার্টি পিকর্চার’, ‘হেট স্টোরি’ কিংবা এর বাইরে থেকে কোনো ছবি বাছাই করতে বলা হলে কোন ছবি বাছাই করবেন এবং কেন? আমার ‘হেট স্টোরি’ টা ভাল লাগছে। আমি অ্যাকশনের চেয়ে ইমোশনটাকে বেশি প্রাধান্য দেই। কারণ, আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক ইমোশনাল। আর ওই ছবিতে অনেক ইমোশন আছে। দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে নারীদের ক্ষমতায়ন হয়েছে। কিন্তু সমাজে নারীরা কতটুকু ক্ষমতায়ন কিংবা স্বাধীনতার স্বাদ পাচ্ছে? ব্যক্তিজীবনে আমি খুবই স্বাধীন। আমি ইচ্ছে করলে যা খুশি করতে পারি। আমাকে কেউ বাধা দেয় না।
তবে এটা সত্য আমাদের সমাজে নারীরা খুব একটা স্বাধীন না। এজন্য তাদের নিজেদেরই সচেতন হতে হবে।agnee2-2 রাজনীতিতে আসার ইচ্ছে আছে কি? আসলে প্রথম কোন কাজটা করবেন? হ্যা, ইচ্ছে আছে। আসলে প্রচুর শপিং করব। (হিঃ হিঃ হিঃ) আর এজন্য যা করা লাগে তাই করব। (অট্টহাসি) ‘দেশা-দ্য লিডার’, ‘ওয়ার্নিং’-এ সাংবাদিক চরিত্রে কাজ করেছেন। বাস্তবে কখনও ইচ্ছে আছে হবার? না কখনোই ইচ্ছে নেই। সাংবাদিকদের এতো কষ্ট। এই যে আপনাকে এত কষ্ট করে আমার সাথে কথা বলতে হচ্ছে।
আমার এত কষ্ট ভাল লাগে না। ২০১৪ তে আপনার অভিনীত ৬টি ছবি মুক্তি পেয়েছিল। কোনোটির জন্য কি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার আশা করেন? পুরষ্কার যেগুলো পেয়েছি তা ভাগ্যের জোরে পেয়েছি। আর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার পাবার মত অভিনয় দক্ষতা আমার নেই। তারপরও আপনাকে বলা হল- আপনি পুরষ্কার পাচ্ছেন, তাহলে কোন ছবির জন্য হলে খুশি হবেন এবং কেন? ‘পোড়ামন’ ও ‘অনেক সাধের ময়না’। আমি নিজে আমার কোন ছবি দেখে সন্তুষ্ট হতে পারি না। একটা না একটা খুঁত বের হয়। আপনি বললেন, নিজের ছবি দেখে সন্তুষ্ট হতে পারেন না-নিজের কোন জিনিস শোধরানো উচিত বলে মনে করেন? দেখা গেল কোনো ছবিতে আমার কান্না দেখে আমার কাছেই ন্যাকামি মনে হয়েছে। পরবর্তী ছবিতে সেটা মনে রাখার চেষ্টা করি। কিন্তু ক্যামেরার সামনে গেলে সব আগের মত হয়ে যায়। আবার আমি যখন কোনো ভিডিও আপলোড করি রেকর্ডিং এর সময় মনে হয় স্বাভাবিকভাবে কথা বলি। পরে দেখা যায় আমি খুব ঢং করে কথা বলছি। যা খুব বিরক্তিকর আমার নিজের কাছেই। এ জিনিসগুলো আমার পরিবর্তন করা জরুরী, কিন্তু পারি না। আগে মাহির ‘সুইচ কন্ট্রোল’ ছিল জাজের হাতে। কিন্তু এখন তার নিজের হাতে। সে কি পারবে নিজের শীর্ষস্থান ধরে রাখতে? আমি আপনাকে বলি- অবশ্যই সব কিছুর একটা সাইড এফেক্ট আছে। আমার একটা সাপোর্ট ছিল এখন নেই। এটুকু তো সমস্যা হবেই। আমি সবসময় বিশ্বাস করি, আমার ভাগ্যটা সবসময় ভালো। আমার ‘ভালোবাসার রঙ’, ‘অন্যরকম ভালোবাসা’, ‘তবুও ভালোবাসি’, ‘পোড়ামন’, ‘ভালোবাসা আজকাল’ হিট না হলে অবশ্যই জাজ আমাকে নিয়ে ছবি করত না। উনারা ছবি বানিয়েছে ভালো, দর্শক দেখেছে। এমন নয় যে দর্শককে কিন্তু জোর করে দেখানো হয়েছে- যার কারণে ছবিগুলি হিট হয়ে গেছে। আমি যদি ওইরকম ভালো ছবি করতে পারি, সঠিক প্ল্যানিং করে, ওই কোয়ালিটিটা বজায় রাখতে পারি- তাহলে এই অবস্থান বজায় থাকবে। আর আমার ভাগ্যে বিশ্বাস তো আছেই।
আপনার কথা থেকেই জিজ্ঞাসা- মাহির পরবর্তী পরিকল্পনা কী, যেটা হবে সঠিক পরিকল্পনা? শুধু সিনেমা, সিনেমা আর সিনেমা করে করে যাওয়া। পত্র-পত্রিকার খবর-‘জাজে ফিরছেন মাহি’, কতটুকু সত্য? একদমই সত্য না। তারা যদি অনুরোধ করে তাহলে হয়তো করব। কিন্তু আপাতত কোন সম্ভাবনা নেই। যদি ফেরা হয়, তা কি কোনো শর্তসাপেক্ষে হবে? কোনো শর্ত নেই। আমার বাবা-মা’র কাছে আবার কিসের শর্ত? যদি আসেন, তাহলে আগের মাহির যে গুরুত্ব ছিল, সেটা কি থাকবে? গুরুত্ব না থাকলে আমি যাব না। আমার যেখানে গুরুত্ব থাকবে না সেখানে আমি কোনোদিনই যাই না। ইনফ্যাক্ট, আমার বাসার মধ্যে যদি দেখি আমার গুরুত্ব কমে যাচ্ছে, তাহলে বাসায় যাই না। দরকার হলে বাইরে ঘুমাবো, বাসায় যাবো না। প্রযোজক আরশাদ আদনানের চার ছবি…। তার সাথে চার-পাঁচটা ছবির কোনোটাই হচ্ছে না।
agnee2-1 আপনার সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ওয়ার্নিং’ ভাল চলেনি। এখন ইন্ড্রাস্ট্রি শব্দটা যখন আসে তখন ‘হিট না ফ্লপ’ শব্দগুলোও আসে। দেখা যায় একজন শিল্পীর ৪-৫টা ছবি পরপর ফ্লপ হলে ঝরে পড়েন ইন্ডাস্ট্রি থেকে। আপনার ক্ষেত্রে এরকম হলে কী করবেন? আমি নিজেই থাকব না। বেডিং-পত্র গুছিয়ে বরিশাল চলে যাব। ওখানে গিয়ে মাছ ধরব। কারণ, পরপর এতগুলা ছবি ফ্লপ যাওয়া মানে দর্শক আর চাচ্ছে না আমাকে- তাহলে আমি কেন থাকব? ছোটবেলায় মাছ ধরতেন নাকি? না, তা ধরিনি। এখন মানুষ অনেক কাজ আগে করে না- সময়, পরিবেশ, পরিস্থিতি তাকে সব শিখিয়ে নেয়। তবে মাছ না ধরলেও অনেক টাংকিবাজ ছিলাম। নিজের অভিনীত কোনো চরিত্রটি আপনার ভালো লাগে? কেন জানি আমার নিজের অভিনীত কোনো চরিত্র আমার কাছে ভাল লাগে না। তাহলে কি স্বপ্নের কোন চরিত্র আছে? আছে দু-টা। ‘বরফি’ ছবির প্রিয়াংকা চোপড়া’র চরিত্রটি। আর আগে যে শাবনূর আপু করতো একটুকু পাগলাটে।
অভিনীত ছবিগুলো থেকে প্রিয় গান? ‘পোড়ামন’ এর টাইটেল ট্র্যাক। আরেকটা হচ্ছে ‘অন্য রকম ভালোবাসা’র ‘আকাশ বাতাস স্বাক্ষী রেখে’। নিশ্চয়ই অনেক প্রেম করেছেন। দু-একটার গল্প আমাদের শোনানো যায়? অনেকগুলো গুণে শেষ করতে পারব না। আমার সাড়ে চার বছর বয়স থেকে একজন আমাকে পছন্দ করত। যখন ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়তাম তখন সে আমাকে রক্ত দিয়ে একটা চিঠি লেখে। স্কুলে বন্ধুদের নিয়ে একসাথে পড়লাম। এখন তার এ চিঠির উত্তর দিতে হবে। রক্ত দিয়ে চিঠি মেতা আমি লিখতে পারব না। তাহলে উপায়? পরে সব বন্ধুদের আঙ্গুল একটু একটু করে কেটে চিঠির উত্তর পাঠালাম।
নায়িকা হিসেবে অভিনয়, নাচ-গান এগুলো ভাল পারেন এজন্য দর্শক আপনাকে পছন্দ করে। কিন্তু কোন একদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে দেখলেন কিছুই পারছেন না। কী করবেন?
http://vidzonebd.blogspot.com/p/blog-page.html |
মাহিয়া মাহি |
প্রথম কোনো বাংলাদেশী ছবি একসাথে প্রায় হাজার হলে মুক্তি পাচ্ছে। আর এ ছবির নায়িকা মাহিয়া মাহি।
শক্ত প্রতিদ্বন্ধিতার মুখোমুখি হবেন ঈদে আরো তিন নায়িকার সাথে। ‘ঢালিউড’ এর সাথে তিনি কথা বলেছেন আসন্ন ছবি ‘অগ্নি-২’, জাজ-মাহি সম্পর্কের
টানাপোড়েন, ক্যারিয়ার প্ল্যান নিয়ে। ‘অগ্নি-২’তে আপনার চরিত্র সম্পর্কে জানতে চাই। ‘অগ্নি’র মতই প্রতিশোধপরায়ণ একটা মেয়ে। ওখানে বাবা-মার জন্য প্রতিশোধ নেয়। এখানে আমি আমার ভালোবাসার মানুষ আরিফিন শুভর জন্য প্রতিশোধ নেব। ‘অগ্নি’র সময় সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনদিন ন খেয়ে থাকার কথা। এবার কী এরকম কোনো স্মৃতি আছে- মজার কিংবা কষ্টের। মজারতো ওভাবে নেই। তবে কিছু কষ্টের স্মৃতিতো আছেই। যেমন- ‘অগ্নি-টু’র জন্য আমি একমাস না খেয়ে ছিলাম। সারাদিন শুধু জুস খেতাম আর তিন লিটার পানি। এছাড়া আর কোনো খাবার আমি খাইনি। এটা শুধু শুটিং না ট্রেনিং চলাকালীন সময়ও করেছি। দুর্দান্ত কিছু অ্যাকশন দৃশ্যে দেখা যাবে মাহিকে দুর্দান্ত কিছু অ্যাকশন দৃশ্যে দেখা যাবে মাহিকে আর কোনো স্মৃতি বা ঘটনা কিংবা অভিজ্ঞতা। অভিজ্ঞতা বলতে না ঘুমিয়ে থাকার কথা বলতে পারি। দেখা যেত থাইল্যান্ডের রাস্তায় কিংবা বিচে শুটিং করছি টানা ৪-৫ দিন। হোটেলে যাওয়ার সময়টুকু হচ্ছে না। তখন হয়তো গাড়িতে আধা ঘন্টা বা এক ঘন্টা কোনোরকমে চোখ বন্ধ করতাম। খাওয়া-দাওয়াও ওখানে হত। এটার কারণ ছিল ব্যাংকক থেকে অনেক দূরে শুটিং হত। ৬ ঘন্টা শুধু লাগত যেতেই। প্রচন্ড পরিশ্রম করতে হয়েছে। এই ছবিতে মানুষ বিশেষ কি দেখতে পাবে? বিশেষ বলতে মানুষ এ ছবিতে অনেকগুলো ভালো গান দেখতে পাবে। আমি খুব সৌভাগ্যবান এত আয়োজন নিয়ে নির্মাণের কাজ করতে পেরেছি। নিজে খুব তৃপ্ত। অ্যাকশনগুলো ‘অগ্নি’র চেয়ে অনেকগুণে ভালো হয়েছে। অনেকগুলো লোকেশনে শুটিং হয়েছে। একটা ফাইট-ই দেখা গেছে ৪-৫ টা জায়গায় শুট হয়েছে। কলকাতার ওম, বলিউডের আশীষ বিদ্যার্থীর সাথে প্রথমবারের মত কাজ করলেন।
তাদের সাথে কাজের অভিজ্ঞতা জানতে চাইবো- বিশেষ করে আশীষ বিদ্যার্থীর মত উপমহাদেশের বিখ্যাত অভিনেতার সাথে কাজ করতে ভয় পাননি? ওম’র সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা আসলে বাপ্পির মত। বাপ্পির সাথে যেভাবে ঝগড়া করি, কথা কাটাকাটি করি- অনেকটা ওরকম। খুব সহজভাবে বললে ওমের সাথে আর বাপ্পির সাথে কাজের কোনো পার্থক্য নেই। ওম খুব বেশি কেয়ারিং। আর আশীষ বিদ্যার্থীর সাথে ভয় পাওয়ার কিছু ছিল না। হ্যাঁ, উনি খুব সিনিয়র, কিন্তু ওনাকে দেখে তা বোঝা যায় না।
উনি খুব মিশুক ছিলেন। খুব মজা করে কাজ করতেন। নিজের মত করে কাজগুলো বের করে নিতেন। 'একখান চুমু' চান মাহির কাছে ওম ‘একখান চুমু’ চান মাহির কাছে ওম একটু আগে বললেন, গান নিয়ে সন্তুষ্ট। এ ছবির কোন গানটি আপনার সবচেয়ে বেশি ভাল লাগে? ‘ম্যাজিক মামনি’। ওই গানের ‘ফেয়ার এন্ড লাভলী মেখে আমি নূরানি’ আমার খুব প্রিয়। হিঃ হিঃ হিঃ। আমি যদি ভুল না করি আপনি ‘অগ্নি’, ‘অগ্নি-২’ মিলিয়ে দু-বার আইটেম গানে কাজ করলেন, নায়িকাদের ‘আইটেম গার্ল’ হিসেবে কাজ করা উচিত কি না? ‘আইটেম গার্ল’কে যেভাবে দেখা যায় সেভাবে হয়তো কিছুটা ‘ম্যাজিক মামনি’তে দেখেছেন। আর ছবিগুলোতে আমি নায়িকা হিসেবে ছিলাম। ফলশ্রুতিতে দর্শক আমাকে ‘আইটেম গার্ল’ হিসেবে নেবে না। আর ওরকম আইটেম গান বলতে যা বোঝায় তাও কিন্তু আমি করিনি। ইফতেখার চৌধুরীর সাথে দ্বিতীয়বারের মত কাজ করলেন, তার সম্পর্কে বলুন। খুব ভাল, খুব-ই কেয়ারিং। অনেক শুটিং-এ দেখা যায় কাজ করতে গিয়ে নানা কারণে মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু ওনার সাথে কাজ করতে গিয়ে ওরকম কিছুই হয়নি। গত দু-বছর ঈদে অপু-মাহি যুদ্ধ হয়েছে। এবার অপু-মাহি-মিম-পরীমনি, কে জিতবে? যুদ্ধ ব্যাপারটা একদমই আমার মাথায় আসে না। আমার গত বছর মাহির ছবি কতটুকু ভালো চলেছে তারচেয়ে এ বছর কতটুকু ভালো চলবে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। নিজের সাথে নিজের যুদ্ধ। আমি অন্য কারো সাথে যুদ্ধ করতে পারি না। করলেও আমি জিতব না। তাই আমি যুদ্ধের মধ্যে যাবোই না।
_S2A8305 উপমহাদেশের সাম্প্রতিক সময়ে হওয়া নায়িকাপ্রধান ছবি-‘কাহানি’, ‘ফ্যাশন’, ‘ডার্টি পিকর্চার’, ‘হেট স্টোরি’ কিংবা এর বাইরে থেকে কোনো ছবি বাছাই করতে বলা হলে কোন ছবি বাছাই করবেন এবং কেন? আমার ‘হেট স্টোরি’ টা ভাল লাগছে। আমি অ্যাকশনের চেয়ে ইমোশনটাকে বেশি প্রাধান্য দেই। কারণ, আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক ইমোশনাল। আর ওই ছবিতে অনেক ইমোশন আছে। দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে নারীদের ক্ষমতায়ন হয়েছে। কিন্তু সমাজে নারীরা কতটুকু ক্ষমতায়ন কিংবা স্বাধীনতার স্বাদ পাচ্ছে? ব্যক্তিজীবনে আমি খুবই স্বাধীন। আমি ইচ্ছে করলে যা খুশি করতে পারি। আমাকে কেউ বাধা দেয় না।
তবে এটা সত্য আমাদের সমাজে নারীরা খুব একটা স্বাধীন না। এজন্য তাদের নিজেদেরই সচেতন হতে হবে।agnee2-2 রাজনীতিতে আসার ইচ্ছে আছে কি? আসলে প্রথম কোন কাজটা করবেন? হ্যা, ইচ্ছে আছে। আসলে প্রচুর শপিং করব। (হিঃ হিঃ হিঃ) আর এজন্য যা করা লাগে তাই করব। (অট্টহাসি) ‘দেশা-দ্য লিডার’, ‘ওয়ার্নিং’-এ সাংবাদিক চরিত্রে কাজ করেছেন। বাস্তবে কখনও ইচ্ছে আছে হবার? না কখনোই ইচ্ছে নেই। সাংবাদিকদের এতো কষ্ট। এই যে আপনাকে এত কষ্ট করে আমার সাথে কথা বলতে হচ্ছে।
আমার এত কষ্ট ভাল লাগে না। ২০১৪ তে আপনার অভিনীত ৬টি ছবি মুক্তি পেয়েছিল। কোনোটির জন্য কি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার আশা করেন? পুরষ্কার যেগুলো পেয়েছি তা ভাগ্যের জোরে পেয়েছি। আর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার পাবার মত অভিনয় দক্ষতা আমার নেই। তারপরও আপনাকে বলা হল- আপনি পুরষ্কার পাচ্ছেন, তাহলে কোন ছবির জন্য হলে খুশি হবেন এবং কেন? ‘পোড়ামন’ ও ‘অনেক সাধের ময়না’। আমি নিজে আমার কোন ছবি দেখে সন্তুষ্ট হতে পারি না। একটা না একটা খুঁত বের হয়। আপনি বললেন, নিজের ছবি দেখে সন্তুষ্ট হতে পারেন না-নিজের কোন জিনিস শোধরানো উচিত বলে মনে করেন? দেখা গেল কোনো ছবিতে আমার কান্না দেখে আমার কাছেই ন্যাকামি মনে হয়েছে। পরবর্তী ছবিতে সেটা মনে রাখার চেষ্টা করি। কিন্তু ক্যামেরার সামনে গেলে সব আগের মত হয়ে যায়। আবার আমি যখন কোনো ভিডিও আপলোড করি রেকর্ডিং এর সময় মনে হয় স্বাভাবিকভাবে কথা বলি। পরে দেখা যায় আমি খুব ঢং করে কথা বলছি। যা খুব বিরক্তিকর আমার নিজের কাছেই। এ জিনিসগুলো আমার পরিবর্তন করা জরুরী, কিন্তু পারি না। আগে মাহির ‘সুইচ কন্ট্রোল’ ছিল জাজের হাতে। কিন্তু এখন তার নিজের হাতে। সে কি পারবে নিজের শীর্ষস্থান ধরে রাখতে? আমি আপনাকে বলি- অবশ্যই সব কিছুর একটা সাইড এফেক্ট আছে। আমার একটা সাপোর্ট ছিল এখন নেই। এটুকু তো সমস্যা হবেই। আমি সবসময় বিশ্বাস করি, আমার ভাগ্যটা সবসময় ভালো। আমার ‘ভালোবাসার রঙ’, ‘অন্যরকম ভালোবাসা’, ‘তবুও ভালোবাসি’, ‘পোড়ামন’, ‘ভালোবাসা আজকাল’ হিট না হলে অবশ্যই জাজ আমাকে নিয়ে ছবি করত না। উনারা ছবি বানিয়েছে ভালো, দর্শক দেখেছে। এমন নয় যে দর্শককে কিন্তু জোর করে দেখানো হয়েছে- যার কারণে ছবিগুলি হিট হয়ে গেছে। আমি যদি ওইরকম ভালো ছবি করতে পারি, সঠিক প্ল্যানিং করে, ওই কোয়ালিটিটা বজায় রাখতে পারি- তাহলে এই অবস্থান বজায় থাকবে। আর আমার ভাগ্যে বিশ্বাস তো আছেই।
আপনার কথা থেকেই জিজ্ঞাসা- মাহির পরবর্তী পরিকল্পনা কী, যেটা হবে সঠিক পরিকল্পনা? শুধু সিনেমা, সিনেমা আর সিনেমা করে করে যাওয়া। পত্র-পত্রিকার খবর-‘জাজে ফিরছেন মাহি’, কতটুকু সত্য? একদমই সত্য না। তারা যদি অনুরোধ করে তাহলে হয়তো করব। কিন্তু আপাতত কোন সম্ভাবনা নেই। যদি ফেরা হয়, তা কি কোনো শর্তসাপেক্ষে হবে? কোনো শর্ত নেই। আমার বাবা-মা’র কাছে আবার কিসের শর্ত? যদি আসেন, তাহলে আগের মাহির যে গুরুত্ব ছিল, সেটা কি থাকবে? গুরুত্ব না থাকলে আমি যাব না। আমার যেখানে গুরুত্ব থাকবে না সেখানে আমি কোনোদিনই যাই না। ইনফ্যাক্ট, আমার বাসার মধ্যে যদি দেখি আমার গুরুত্ব কমে যাচ্ছে, তাহলে বাসায় যাই না। দরকার হলে বাইরে ঘুমাবো, বাসায় যাবো না। প্রযোজক আরশাদ আদনানের চার ছবি…। তার সাথে চার-পাঁচটা ছবির কোনোটাই হচ্ছে না।
agnee2-1 আপনার সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ওয়ার্নিং’ ভাল চলেনি। এখন ইন্ড্রাস্ট্রি শব্দটা যখন আসে তখন ‘হিট না ফ্লপ’ শব্দগুলোও আসে। দেখা যায় একজন শিল্পীর ৪-৫টা ছবি পরপর ফ্লপ হলে ঝরে পড়েন ইন্ডাস্ট্রি থেকে। আপনার ক্ষেত্রে এরকম হলে কী করবেন? আমি নিজেই থাকব না। বেডিং-পত্র গুছিয়ে বরিশাল চলে যাব। ওখানে গিয়ে মাছ ধরব। কারণ, পরপর এতগুলা ছবি ফ্লপ যাওয়া মানে দর্শক আর চাচ্ছে না আমাকে- তাহলে আমি কেন থাকব? ছোটবেলায় মাছ ধরতেন নাকি? না, তা ধরিনি। এখন মানুষ অনেক কাজ আগে করে না- সময়, পরিবেশ, পরিস্থিতি তাকে সব শিখিয়ে নেয়। তবে মাছ না ধরলেও অনেক টাংকিবাজ ছিলাম। নিজের অভিনীত কোনো চরিত্রটি আপনার ভালো লাগে? কেন জানি আমার নিজের অভিনীত কোনো চরিত্র আমার কাছে ভাল লাগে না। তাহলে কি স্বপ্নের কোন চরিত্র আছে? আছে দু-টা। ‘বরফি’ ছবির প্রিয়াংকা চোপড়া’র চরিত্রটি। আর আগে যে শাবনূর আপু করতো একটুকু পাগলাটে।
অভিনীত ছবিগুলো থেকে প্রিয় গান? ‘পোড়ামন’ এর টাইটেল ট্র্যাক। আরেকটা হচ্ছে ‘অন্য রকম ভালোবাসা’র ‘আকাশ বাতাস স্বাক্ষী রেখে’। নিশ্চয়ই অনেক প্রেম করেছেন। দু-একটার গল্প আমাদের শোনানো যায়? অনেকগুলো গুণে শেষ করতে পারব না। আমার সাড়ে চার বছর বয়স থেকে একজন আমাকে পছন্দ করত। যখন ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়তাম তখন সে আমাকে রক্ত দিয়ে একটা চিঠি লেখে। স্কুলে বন্ধুদের নিয়ে একসাথে পড়লাম। এখন তার এ চিঠির উত্তর দিতে হবে। রক্ত দিয়ে চিঠি মেতা আমি লিখতে পারব না। তাহলে উপায়? পরে সব বন্ধুদের আঙ্গুল একটু একটু করে কেটে চিঠির উত্তর পাঠালাম।
নায়িকা হিসেবে অভিনয়, নাচ-গান এগুলো ভাল পারেন এজন্য দর্শক আপনাকে পছন্দ করে। কিন্তু কোন একদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে দেখলেন কিছুই পারছেন না। কী করবেন?
good news
ReplyDelete