‘নিজের অভিনয়ের প্রতি কনফিডেন্স আরো বেড়ে গেছে’
ইমন |
অনেকদিন পর আপনার ছবি মুক্তি পেলো। কেমন লাগছে?
অনেক বেশি ভালো লাগছে। এই ছবিটির মুক্তির অপেক্ষায় ছিলাম এতদিন। অনেক বেশি আশা ছবিটি নিয়ে। আবারো পর্দায় দর্শকদের আনন্দ দিতে পারছি সেজন্য অনেক ভালো লাগছে।
দর্শকদের সাড়া পাচ্ছেন কেমন?
আশার চেয়েও অনেক বেশি। প্রচুর দর্শক ‘পদ্ম পাতার জল’ দেখতে আসছে। অনেক জায়গায় শোয়ের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে। ছবি দেখতে এসে অনেকে টিকেট না পেয়ে হল থেকে ফিরে যাচ্ছে। সবগুলো হলই হাউজফুল যাচ্ছে। সবার অনেক প্রশংশাও পাচ্ছি। দর্শকদের পজেটিভ রেসপন্স পাচ্ছি। সবমিলিয়ে বলতে পারেন দর্শক ব্যাপক সাড়া দিচ্ছে।
‘পদ্ম পাতার জল’ কোন শ্রেণীর দর্শক বেশি দেখছেন?
সব ধরনেরই দর্শক আসছেন। কিন্তু আমি যে কয়টা হল ঘুরেছি বেশির ভাগই দেখলাম মেয়ে বা মহিলা দর্শক। তারা ছবিটিকে বেশ ভালোভাবে গ্রহণ করেছে। সমানতালে ছেলেদের উপস্থিতিও লক্ষণীয়।
আপনি কোন কোন হলে গিয়েছেন?
আমি ঈদের দিন থেকে অনেক হল ঘুরেছি। বলাকা, স্টার সিনেপ্লেক্স, ব্লকবাস্টারসহ ঢাকার বাইরে বেশ কয়েকটা হল ঘুরেছি। সেখানে দর্শকদের সঙ্গে বসে ‘পদ্ম পাতার জল’ দেখেছি।
দর্শকদের কাছে ছবির কোন সিকোয়েন্সটা বেশি ভালো লেগেছে?
বেশির ভাগ দর্শকই ছবির লাস্ট সিকোয়েন্সে কান্না করে দিয়েছে। শুধু ঢাকা নয়, গ্রামে-গঞ্জে যেখানে ‘পদ্ম পাতার জল’ দেখেছেন সবাই একই কথা বলছেন। একটি হলেতো একজন মধ্যবয়স্ক মহিলা এসে আমাকে বলছে ‘শেষ দিকে আমরা কান্না করে দিয়েছি, খুব ভালো অভিনয় করেছেন’।
আপনারা ‘পদ্ম পাতার জল’ নিয়ে অনেক প্রচারণা চালিয়েছেন। এতে কি আপনারা সফল ?
আমরা আসলে চেয়েছি দর্শকদের দুয়ারে দুয়ারে ছবিটির খবর পৌঁছে দিতে। আলহামদুলিল্লাহ্ ! আমার কাছে মনে হচ্ছে আমরা সফল। কারণ দর্শক ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে হলে ছবি দেখতে আসছেন।
ইমন-মিম জুটিকে দর্শক কিভাবে নিচ্ছে?
মিমের সঙ্গে এটা আমার দ্বিতীয় ছবি। এর আগে ‘জোনাকির আলো’তে আমরা প্রথম কাজ করি। ওটা অবশ্য একটু অন্য ধরনের ছবি ছিল। কিন্তু মিমের সঙ্গে ফুল কমার্শিয়াল ছবি প্রথম করলাম। দুইটা কাজেই আমরা অনেক পরিশ্রম দিয়ে করেছি। কাজও ভালো হয়েছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে মিমের সঙ্গে আমার রসায়নটা খুব ভালো। তাই আমরা দুইজন খুব ইজিলি কাজ করতে পারি।
একজন অভিনেতা হিসেবে ‘পদ্ম পাতার জল’ ছবিতে আপনার অভিনয় কিভাবে মূল্যায়ন করবেন?
আমি শুরু থেকে ছবিটির শুটিংয়ের সময় চরিত্রের সঙ্গে নিজেকে মিশিয়ে কাজ করতে চেষ্টা করেছি। প্রতিটি দৃশ্য খুব পরিশ্রম দিয়ে করার চেষ্টা করেছি। শেষে ‘পদ্ম পাতার জল’ পর্দায় দেখার পর আমার কাছে মনে হয়ছে আমার কষ্ট সার্থক হয়েছে। তবে কোনো মানুষতো আর ১০০% পারফেক্ট হয় না। মনের অজান্তে কিছু জায়গায় হয়তো ভুল হলেও হতে পারে। তবে আমি আমার প্রোডিউসার ও ডিরেক্টরকে হ্যাপি করতে পেরেছি, সেটাই হচ্ছে আমার জন্য বড় পাওয়া। দর্শকরা ব্যাপক সাড়া দিচ্ছেন, এতো রেসপন্স দেখে নিজের অভিনয়ের প্রতি কনফিডেন্স আরো বেড়ে গেছে।
ঈদে আরো দুইটি ছবি মুক্তি পেয়েছে, সেগুলো দেখেছেন?
আমি এখনো দেখার সময় পাইনি। তবে আগামীকাল থেকে (বৃহস্পতিবার) ছবিগুলো দেখবো।
শেষ পর্যন্ত বাকি ছবিগুলো থেকে ‘পদ্ম পাতার জল’ কি এগিয়ে থাকবে?
আসলে তিনটি তিন ধরনের ছবি। এখানে দর্শক একটি ছবির সঙ্গে আরেকটি ছবির তুলনা করতে পারবে না। একেক ছবির দর্শক একেক রকম। আমি মনে করি দর্শক যারা সিনেমা দেখবেন, তারা তিনটি ছবিই হলে গিয়ে দেখবেন।
দর্শকদের উদ্দেশ্যে কিছু বলুন?
অনেক কষ্ট করেছি। ‘পদ্ম পাতার জল’ যাতে একটি ভালো ছবি হয়, সেজন্য আমরা কাজ করেছি। আপনাদের চাহিদার সবটুকু আপনারা আমদের ছবিতে পাবেন। অবশ্যই আপানারা হলে এসে ‘পদ্ম পাতার জল’ দেখুন।
No comments
https://web.facebook.com/Newprojapotibd/